বাংলাদেশের ভ্রমণপিপাসুদের একটি জনপ্রিয় স্থান হলো এই বিছানাকান্দি । ঢাকা থেকে ২৮৩ কি.মি পূর্বে সিলেট জেলায় অবস্থিত । যা সিলেটের পর্যটনের তীর্থ ভূমি । প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে এক অপরূপ নিদর্শন এই বিছানাকান্দি। চার দিকে ছড়িয়ে আছে পাথরের সমারহ। ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের বা ধরনের । যার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে পানির শীতল ধারা । কিছু দূরে সাড়ি সাড়ি দাড়িয়ে আছে সবুজে ঘেড়া পাহাড় । যেখানে পাহাড়গুলোর সাথে মেঘেরা খেলা করছে । যা ভ্রমণ পিপাসুদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। যা দেখতে সারা দেশ থেকে বিভিন্ন সময় ছুটে আসে হাজারো ভ্রমণপিপাসু । আর এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে নিজেদের হারিযে নিজেদের ক্লান্তি দূর করে।
যেভাবে যাবেন
- বর্ষাকালেঃ
সড়কযান (ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাস কিংবা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা) ও নৌযানের (ইঞ্জিনচালিত অথবা সাধারণ নৌকা) সমন্বয়ে।
- শুকনো মৌসুমেঃ
সড়কযান বিছনাকান্দি যাওয়ার একাধিক পথ রয়েছে। তবে সুবিধাজনক পথ মূলত একটিই। বিমানবন্দরের দিকে এগিয়ে ডানে মোড় নিয়ে সিলেট- কোম্পানীগঞ্জ রোডে সালুটিকর, সালুটিকর থেকে এগিয়ে ডানে মোড় নিয়ে বঙ্গবীর, বঙ্গবীর থেকে কিছুদূর গিয়ে বামে মোড় নিয়ে হাদারপাড় বাজার। হাদারপাড় বিছনাকান্দির একেবারেই পাশে। এখান থেকে স্থানীয় নৌকা নিয়ে বিছনাকান্দি যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। বিছনাকান্দি পর্যন্ত গাড়ি পৌছায় না। সিলেট এর যেকোন স্থান থেকে বিশেষত আম্বরখানা থেকে হাদারপাড় পর্যন্ত ভাড়ায় সিএনজি পাওয়া যায়।
সর্তকতা
যেহেতু এটি একটি পানির স্রোতধারা তাই সকল পর্যটকদের সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত । বিছানাকান্দির চারপাশে ছোট-বড় সাইজের পাথর বিছিয়ে আছে তাই তা থেকে যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে । বর্ষা মৌসুমে নদীতে গোসল করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।